চরম পিপাসা বা ক্ষুধার অবস্থায় পানাহারের কোন বস্তু না পাওয়া গেলে এবং এতে প্রাণ নাশের আশংকা দেখা দিলে এরূপ অনন্যোপায় অবস্থায় প্রাণ রক্ষার লক্ষ্যে মদপান করা জায়িয। কুরআন মজিদে আল্লাহ্ তা’আলা ইরশাদ করেছেন। ৪ 18

إِنَّمَا حَرَّمَ عَلَيْكُمُ الميتة والدم ولحمَ الْخِنْزِيرِ وَمَا أُهِلَّ بِهِ لِغَيْرِ اللَّهِ فَمَنِ اصْطَرْ غَيْرَ بَاغِ وَلَا عَادٍ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ

নিশ্চই আল্লাহ তা’আলা মৃত জন্তু, রক্ত, শূকর মাংস এবং যার উপর যবেহ-এর সময় আল্লাহর নাম ব্যতীত অন্যের নাম উচ্চারিত হয়েছে তা তোমাদের জন্য হারাম করেছেন। কিন্তু যে অনন্যোপায় অথচ নাফরমান কিংবা সীমালংঘনকারী নয় তার কোন পাপ হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম-দয়ালু। (সূরা বাকারা: ১৭৩) উপরোক্ত আয়াতে আল্লাহ্ তা’আলা অনন্যোপায় ব্যক্তির জন্য মৃতজন্তু, রক্ত এবং শূকর মাংস ভক্ষণ করার অনুমতি দিয়েছেন। আর মদের বিষয়টিও এগুলোর মতই। কাজেই অনন্যোপায় অবস্থায় কেবল প্রাণ বাঁচে এ পরিমাণ মদপান করা জায়িয। অবশ্য এক্ষেত্রে নাফরমানী বা সীমালংঘনমূলক কোন আচরণ করা জায়িয হবে না। উল্লেখ্য যে, এ অবস্থা চলে যাওয়ার পর পূর্ববৎ তা হারাম হিসেবেই গণ্য হবে। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন:

ان الله انزل الداء والدواء وجعل لكل داء دواء فتداو وا ولا تداوو

بحرام

রোগ এবং প্রতিষেধক উভয়ই আল্লাহ্ তা’আলা নাযিল করেছেন। আর তিনি সর্বপ্রকারের রোগের জন্যই প্রতিষেধকের ব্যবস্থা রেখেছেন। সুতরাং রুগ্ন অবস্থায় তোমরা ঔষধ ব্যবহার করবে। কিন্তু হারাম ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করবে না। (আল ফিক্ আলাল মাযাহিবিল আরবা’আ, ৫ম খণ্ড)