কোন লোক নিজের বাসস্থান হতে সফরের নিয়তে তিন দিন তিন রাতের রাস্তা অর্থাৎ আট চল্লিশ মাইল দূর যাওয়ার নিয়ত করে রওয়ানা হলে নিজ এলাকা অতিক্রম করার পর তাকে মুসাফির বলা হয়।
সফরের সময় মুসাফিরের জন্য চার রাকআতবিশিষ্ট ফরয নামায দুই রাকআত আদায় করতে হয়। যেহেতু এটা আল্লাহ তাআলার আদেশ। অতএব মুসাফির অবস্থায় দুই রাকআত কসর করা ফরয। মুসাফির হালতে চার রাকআত নামায পুরা আদায় করলে তার নামায আদায হবে না। মুসাফির হালতে মুকীম ইমামের পিছনে জামাআতের সহিত চার রাকআত নামায আদায় করা জায়েয হবে।
মুসাফির ইমামের পিছনে মুকীম মোক্তাদী চার রাকআতবিশিষ্ট নামাযে শরীক হলে, ইমামের সালাম ফিরাবার সাথে সাথে আল্লাহু আকবার বলে দাঁড়িয়ে বাকী দুই রাকআত নামায আদায় করতে হবে। এই অবস্থায় কোন সূরা-কেরাআত পড়তে হবে না। আনুমানিক সূরা কেরাআত পড়ার সময় দাঁড়িয়ে থেকে রুকু-সেজদা করে নামায আদায় করবে।মুসাফির ব্যক্তি গন্তব্যস্থানে পৌঁছার পরে সেখানে পনর দিন থাকার নিয়ত করলে, মুকীম হয়ে যাবে। এই সময় সে পুরা চার রাকআত নামায আদায় করবে।
মুসাফির ব্যক্তি গন্তব্যস্থানে পৌঁছে পনর দিন থাকার নিয়ত না করে বরং আজ যাব কাল যাব বলে পনর দিনের বেশীও অবস্থান করে, তবু তাকে কসর আদায় করতে হবে।
দামুসাফির বাড়ী হতে রওয়ানা করার পর থেকে প্রথম ওয়াক্ত চার রাকআত বিশিষ্ট ফরয নামায হতে দুই রাকআত নামায আদায় করতে হবে। আর যদি মুসাফিরী হালতে কসর নামায কাযা হয়ে থাকে, তবে তার কাযাও কনর হিসাবেই আদায় করতে হবে। দুই রাকআত এবং তিন রাকআতবিশিষ্ট ফরয নামাযের কসর নেই এবং ওয়াজিব, সুন্নত ও নফল নামাযের কসর আদায় করার বিধান নেই।