মেয়েলোকেরা তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাবে এবং সিনার উপর প্রথমে বাম হাত রেখে তার উপর ডান হাত রাখবে। রুকুর সময় বেশী ঝুঁকবে না, এতটুকু ঝুঁকতে হবে যাতে উভয় হাত উভয় হাঁটু পর্যন্ত পৌঁছে। উভয় হাত হাঁটুতে বেশী ভর করে ধরবে না এবং হাতের আঙ্গুলগুলো মিলিয়ে রাখবে। পিঠ সোজা করবে না, পদদ্বয় একটু ঝুঁকিয়ে রাখবে, পুরুষের মত সোজা করবে না।

সেজদার সময় সঙ্কুচিত হয়ে জড়সড়ভাবে সেজদা করবে। সেজদার সময় বাহু শরীরের, পেট রানের, রান হাঁটুর এবং হাঁটুর নলা জায়নামাযের সাথে মিলিয়ে রাখবে। মোট কথা, সেজদার সময় মাথা ছাড়া সমগ্র শরীর একত্রে মিলিয়ে সেজদা করতে হবে।

নামাযের মধ্যে বৈঠকের সময় পদদ্বয় ডান দিকে বিছিয়ে দিয়ে বাম নিতম্বের উপর বসতে হবে এবং হস্তদ্বয় রানের উপর এমনভাবে রাখবে যেন হাতের আঙ্গুলের মাথা হাঁটু পর্যন্ত পৌঁছে আর আঙ্গুলগুলো স্বাভাবিকভাবে থাকে।

মেয়েলোকেরা কোন নামাযেই সুরা কেরাআত সশব্দে পড়বে না, সর্বাবস্থায় চুপে চুপে পড়তে হবে। মেয়েলোকের ফরয নামাযের পূর্বে একামত বলতে হবে না।