প্রথমেই কেবলামুখী হয়ে একটু উঁচু জায়গায় বসে নিম্নলিখিত দোয়া পড়বে-
بِسْمِ اللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ عَلَى دِينِ الْإِسْلَامِ الْإِسْلَامُ حَقٌّ وَالْكَفْرُ بَاطِلُ الْإِسْلَامُ نُورُ وَالْكُفَرَ ظُلُمَةٌ .
উচ্চারণ: বিস্মিল্লাহিল্ ‘আলিয়ি্যল ‘আযীম। ওয়াল্ হাম্দু লিল্লাহি ‘আলা দ্বীনিল্ ইসলামি আইস্লামু হাক্কুন ওয়াল্ কুফরু বাতিলুন আলইসলামু নূরুন ওয়াল্ কুফরু যুল্লাহ।
অর্থ: “সু-উচ্চ ও মহীয়ান আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি। দ্বীন ইসলামের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকার জন্য যাবতীয় প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর। ইসলাম সত্য এবং কুফর মিথ্যা। ইসলাম নূর (আলো) এবং কুফর অন্ধকার।”
অতপর কনিষ্ঠ আঙ্গুলের ন্যায় চিকন এক বিঘত লম্বা একখানি তাজা ডাল দ্বারা মেসওয়াক করবে। মেসওয়াক না থাকলে আঙ্গুল দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করে নিবে। হাদীস শরীফে আছে, মেসওয়াক ছাড়া শুধু অযু করে সত্তর রাক’আত নামায পড়লে যে সওয়াব হয়, মেসওয়াক ও অযু করে এক রাক’আত নামায পড়লে তার চেয়েও অধিক সওয়াব পাওয়া যায়। এছাড়া মেসওয়াক করলে দাঁত, মুখ তথা সমগ্র দেহের স্বাস্থ্যগত যে উপকারের কথা বিভিন্ন হাদীসে বলা হয়েছে তা বিস্মিত হবার মত।
মেস্ডয়াক করা সুন্নত। নামায, তেলাওয়াতে কোরআন ইত্যাদি এবাদতের পূর্বে মেসওয়াক করলে এবাদতে অধিক সওয়াব পাওয়া যায়। যথা- মেসওয়াক করে নামায পড়লে সত্তর গুণ সওয়াব অধিক পাওয়া যাবে।
মেসওয়াক জয়তুন অথবা নিমের ডাল দ্বারা করা যায়। মেসওয়াক এক বিষত পরিমাণ এবং সোজা হওয়া দরকার।
মেসওয়াক করার সময় প্রথমে উপরের মাড়ির ডান দিকের দাঁতে, তারপর বাম দিকে, তারপর উপরের মাড়ির ডান দিকের দাঁতের ভিতরে, তারপর বাম দিকে করবে। এভাবে মেসওয়াক করা শেষ করবে। মেসওয়াক করার সময় মাঝে মাঝে ধুয়ে নিতে হয়। খুব ছোট মেসওয়াক দ্বারা দাঁত পরিষ্কার করা সুন্নতের খেলাফ। তবে প্রথমে নিতে সুন্নত পরিমাণ এক বিঘত নেয়ার পর ব্যবহারে ছোট হয়ে গেলে কোন দোষ নেই। অবশ্য এক্ষেত্রে চার আঙ্গুলের চাইতে ছোট হয়ে গেলে মেসওয়াকের সুন্নত আদায় হবে না। মেসওয়াক শুইয়ে রাখতে হয়। হাঁটতে হাঁটতে মেসওয়াক করা মাকরূহ।
মেসওয়াক শেষে কারো সাথে কথা না বলে অন্যের সাহায্য না নিয়ে নিজেই অযু সম্পন্ন করার চেষ্টা করবে। অযু ডান দিক থেকে শুরু করবে। প্রথমে কজি পর্যন্ত দু’হাত তিন বার ধৌত করবে। তারপর তিন বার কুলি করবে ও শেষ কুলির সময়ে গলার ভেতরে পানি রেখে গড়গড়া করবে, নাকের ভিতরে তিন বার পানি পৌঁছাবে। এরপর কপালের উপর চুল উঠার স্থান থেকে থুতনির নীচ পর্যন্ত এবং এক কানের লতি থেকে অন্য কানের লতি পর্যন্ত পরিষ্কাররূপে তিন বার ধৌত করবে। পরে দুই হাতের কনুই পর্যন্ত তিন বার পরিষ্কাররূপে ধৌত করবে। হাত ধোয়ার সময় আঙ্গুলগুলো ভালভাবে মর্দন করতে হবে। হাতে বা আঙ্গুলে গহনা কিংবা আংটি থাকলে তা এমনভাবে নেড়েচেড়ে দিতে হবে যাতে সর্বত্র পানি পৌঁছে যায়। হাত পায়ের আঙ্গুলগুলো খেলাল করতে হবে। দাড়ি খুব ঘন হলে মুখমন্ডল ধৌত করার সময় তাও তিন বার খেলাল করতে হবে। এরপর দু’হাতে নতুন করে পানি নিয়ে একটু ঝেড়ে একবার মাথা মাসেহ করতে হবে। দু’হাতের মধ্যমা, তর্জনী ও কনিষ্ঠা আঙ্গুল এবং হাতের ঐ আঙ্গুলগুলোর সন্নিহিত তালু দিয়ে প্রথমে মাথার সম্মুখ দিক থেকে মাসেহ করে পিছনে নিবে, তারপর তালুর অবশিষ্ট অংশ দিয়ে মাথার পিছনের অংশ মাসেহ করে সামনের দিকে আনতে হবে। এরপর দুই শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা কানের ভিতরের অংশ মাসেহ করবে এবং বৃদ্ধ আঙ্গুলের পেট দ্বারা কানের পিছনের ও উপরের অংশ মাসেহ করবে। তারপর দুই হাতের পিঠ দ্বারা ঘাড় মাসেহ করবে। দুই পায়ের টাখনু