যদি কেউ কসম করে যে, সে অবশ্যই এ কাজ করবে, তবে সংশ্লিষ্ট কাজ একবার করলেই তার কসম পূরণ হবে। ঐ একবার সে স্বতঃস্ফূর্তভাবে করুক কিংবা কারো চাপে পড়ে। কসম ইচ্ছাকৃতভাবে করুক কিংবা ভুলক্রমে করুক, নিজের জন্য করুক কিংবা কারো উকীল হয়ে করুক, যে কোন ভাবেই একবার ঐ কাজ করলে তার কসম পূর্ণ হবে।

আর যদি সে ঐ কাজ না করে তাহলে যে পর্যন্ত ঐ কাজ সম্পাদনে নৈরাশ্য প্রমাণিত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তার কসম ভঙ্গ হয়েছে বলা যাবে না। কর্ম সম্পাদনের পূর্বে নৈরাশ্য প্রমাণিত হবে। এমতাবস্থায় কাফ্ফারা আদায়ের জন্য অসিয়াত করে যাওয়া তার উপর ওয়াজিব। অনুরূপভাবে উক্ত কর্মের ক্ষেত্রে বিলুপ্ত হলে নৈরাশ্য প্রমাণিত হবে। যেমন কেউ কসম করল যে, সে যায়িদকে অবশ্যই প্রহার করবে। অথবা অবশ্যই সে এমনটি ভক্ষণ করবে। তারপর প্রহার করার পূর্বে যায়িদ মারা গেল অথবা তার খাওয়ার পূর্বে অন্য কেউ খেয়ে ফেলল তাহলে তার কসম ভঙ্গ হয়ে যাবে। এটি হলো শর্তহীন কসমের ক্ষেত্র। কসম যদি শর্তযুক্ত হয়, যেমন- কেউ কসম করে বলল, আজ আমি এ রুটি খাব। এমতাবস্থায় দিবস শেষ হওয়ার পর্বে যদি কেউ ঐ রুটি খেয়ে ফেলে কিংবা অন্য কোনভাবে তা নষ্ট হয়ে যায় তাহলে তার কসম ভঙ্গ হবে না। করণ উল্লিখিত অন্য কোন্ত হওয়ার পূর্বে কসমের ক্ষেত্র বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। (আলমগীরী, ২য় খণ্ড) যে সমার্কেটে কসম করে বলে যে, সে ঐ ব্যক্তিকে চিনে না অথবা সে ঐ ব্যাক্তিকে মুখ চিনে না। কিন্তু তার নাম জানে না, তাহলে তার কসম ভঙ্গ হবে না। (আলমগীরী

২য় খণ্ড) খঞ্চউ কসম করল যে, মাটির উপর দিয়ে হাঁটবে না। তারপর সে যদি মোজা পরিধান করে কিংবা জুতা পরিধান করে মাটির উপর হাঁটে তবে তার কসম ভঙ্গ হয়ে যাবে। কিন্তু যদি মাটির উপর বিছানা বিছানো থাকে এবং বিছানার উপর হেঁটে যায় তবে তার কসম ভঙ্গ হবে না। (আলমগীরী, ২য় খণ্ড)

যদি কেউ কসম করে যে, এ খাটের উপর বসবে না; অতঃপর খাটের উপর পাতা বিছানার উপর বসলে তার কসম ভঙ্গ হবে। যদি উক্ত খাটের উপর অন্য খাট রাখা হয় এবং উপরস্থিত খাটটির উপর সে বসে তবে তার কসম ভঙ্গ হবে না। (কুরী)

যদি কেউ কসম করে যে এ বাড়িতে সে বসবাস করবে না, তারপর সে নিজে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল, কিন্তু তার পরিবার পরিজন ও মালপত্র সেখানে রয়ে গেল তবে তার কসম ভঙ্গ হবে। (শামী, ২য় খণ্ড)