কসম ভঙ্গ করার পর কসমের কাফফারা আদায় করতে হবে। কসম ভঙ্গ করার পূর্বে কাফ্ফারা আদায় করে পরে দিলে কাফফারা আদায় হবে না। এমতাবস্থায় কাফ্ফারা স্বরূপ মিস্কীনকে যা প্রদান করেছে তা ফেরতও নিতে পারবে না। তা সাদাকারূপে গণ্য হবে। (শামী, ২য় খণ্ড)

কারো উপর কসম ভঙ্গের কাফ্ফারা ওয়াজিব থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হলে কিংবা সে আহত হলে ঐ কাফফারা তার জিম্মায় থেকে যাবে, তা রহিত হবে না। (আলমগীরী ২য় খণ্ড)

জীবিত অবস্থায় কসমের কাফ্ফারা আদায় করে না গেলে তা আদায়ের জন্য অসিয়াত করে যাওয়া ওয়াজিব। (বেহেশতী জেওর)

এমন এক ব্যক্তি যার উপর কসম ভঙ্গের কাফ্ফারা ওয়াজিব হয়েছে কিন্তু তার কাফ্ফারা আদায়ের সামর্থ নেই অর্থাৎ দাস মুক্তি, দশজন মিসকীনকে খাদ্য প্রদান কিংবা বস্ত্র প্রদানের সামর্থ নাই এবং রোযা রাখতেও সে সমর্থ নয়। পরবর্তীতে সুস্থ হয়ে যে রোযা রাখতে পারে এমন সম্ভাবনাও নেই, এমতাবস্থায় যদি কতক লোক তার পক্ষ থেকে কাফফারা আদায় করে দিতে চায় তবে দশজন মিসকীনকে খাদ্য খাওয়ালে ঐ ব্যক্তির কাফ্ফারা আদায় হবে, এতে কম হলে আদায় হবে না।

ব্যাক্তির ব্যক্তি ইস্তিকালের সময় যদি তার কাফফারা আদায়ের অসিয়্যত করে যায় তাহলে তার পক্ষ হয়ে দশজন মিস্কীনকে খাদ্য খাওয়াতে হবে। নতুবা কাফফারা

আদায় হবে না। যদি সে অসিয়াত করা ছাড়াই মারা যায় এবং কাফফারা আদায়ে আগ্রহী হয় তবে দশজন মিস্কীনকে খাদ্য খাওয়ানো কিংবা দশজন মিসকীনকে বস্ত্র প্রদান ছাড়া উক্ত কাফফারা আদায় হবে না। তারা যদি ঐ ব্যক্তির পক্ষ থেকে ১টি ক্রীতদাস মুক্ত করে দেয় তাতে কাফ্ফারা আদায় হবে না। (আলমগীরী ২য় খণ্ড) কতকলোক তার

কসমের কাফ্ফারা আদায় বিশুদ্ধ হওয়ার জন্যে কাফফারা আদায় কালে নিয়্যত করা জরুরী। (শামী, ২য় খণ্ড)