একদিন আল্লাহ তাআলা সমগ্র বিশ্বগজত ও সমগ্র সৃষ্টি নিশ্চিহ্ন করে দেবেন, এ দিনটিকে কোরআন-হাদীসে ‘কেয়ামত বলা হয়েছে।’ কেয়ামতের পর সবাইকে পুনরায় জীবিত করে আল্লাহর সামনে হাযির করা হবে। এজন্য এ দিনটির অপর নাম ‘হাশর’। সেখানে প্রতিটি মানুষের কর্মের নির্ভুল নিখুঁত রেকর্ড উপস্থাপিত হবে। তাতে এ দুনিয়াতে কৃত প্রতিটি কাজের পূর্ণ বিবরণ থাকবে। এর সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি মানুষ সাক্ষীর কাঠগড়ায় উপস্থিত থাকবে। এমনকি মানুষের হাত, পা, চোখ, কান, জিহ্বা এবং অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তাদেরকে কি কি কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল তার সাক্ষ্য দিবে।
অতঃপর সর্বশ্রেষ্ঠ বিচারক মহান আল্লাহ তাআলা উপস্থাপিত কার্যবিবরণীর ভিত্তিতে কে কতটা শাস্তি বা পুরস্কারের যোগ্য, পূর্ণ ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে তা ঘোষণা করবেন। এই পুরস্কার বা শাস্তির পরিধি এত ব্যাপক হবে যে, বর্তমান জগতে বসে তা অনুমান করাও সম্ভব নয়। অতএব, এমন একটি জীবন ও জগত অর্থাৎ, পরকালের প্রতি ঈমান আনা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয।