যদি কেউ কসম করে যে বেচাকেনা করবে না। কিংবা কোন কিছু ভাড়ায় দিবে না। তারপর সে যদি উপরোক্ত কাজ সম্পাদনের জন্য উকীল নিয়োগ করে এবং তার পক্ষে উকীল তা সম্পন্ন করে তবে তার কসম ভঙ্গ হবে না। অবশ্য কসম করার সময় যদি সে এ নিয়াত করে যে, অদ্য কারো দ্বারা সে উপরোক্ত কাজ করবে না তাহলে উকীল দ্বারা করালেও কসম ভঙ্গ হবে।

কসমকৃত বিষয়টি যদি এরূপ হয় যা সাধারণত কসমকারী সম্পন্ন করে না। তাহলে কসমের পর অন্যের দ্বারা সম্পাদন করালে কসম ভঙ্গ হবে। যদি কোন ব্যক্তি কসম করে যে, সে বিবাহ করবে না, অথবা স্ত্রীকে তালাক দিবে না। তারপর সে যদি উকীল নিয়োগ করে এবং উকীল তার পক্ষে বিয়ে করে বা তালাক দেয় তবে তার কসম ভঙ্গ হবে। (আলমগীরী ২য় খণ্ড)

বিবাহ, তালাক, খুলা, ইচ্ছাকৃত হত্যা, দান সাদাকা, ঋণ গ্রহণ ও দান, আমানত নিজে রাখা কিংবা অন্যের নিকট দেওয়া, ধার দেওয়া, নেওয়া যবাই করা, ঋণ শোধ করা, ঋণ উসূল করা, গৃহ নির্মাণ, সেলাই করা, কাপড় প্রদান করা ইত্যাদি কাজ না করার কসমের পর তার পক্ষ হতে উকীল দিয়ে তা করানো হলে কসম ভঙ্গ হবে। কারণ এসব কাজে উকীল ব্যক্তি মু’আক্কেলের বাহকমাত্র। মূল দায়-দায়িত্ব মু’আক্কেলের উপরই বর্তায়। সুতরাং এগুলো মু’আক্কেলের নিজস্ব কাজ হিসেবে গণ্য হয়। পক্ষান্তরে ক্রয়-বিক্রয়-ভাড়ায় লেন-দেন, আর্থিক মীমাংসা ইত্যাদি বিষয় না করার কসম করার পর যদি তার পক্ষ হতে উকীল দ্বারা এগুলো করানো হয় তবে মু’আক্কেলের কসম ভঙ্গ হবে না। কারণ এসব কাজ উকীলের তত্ত্বাবধানে সম্পাদিত হয় এবং এগুলোর দায় দায়িত্ব উকীলেরর উপরই বর্তায়, মু’আক্কেলের উপর নয়। সুতরাং মু’আক্কেলের কসম ভঙ্গ হবে না। (শরহে বিকায়া, ২য় খণ্ড)