যিনার অপরাধী যদি মুহসিন না হয় তাহলে তার শাস্তি হলো’ একশ বেত্রাঘাত যদি সে স্বাধীন হয়। আর যদি গোলাম হয় তাহালে তাকে পঞ্চাশটি বেত্রাঘাত করবে। বিচারক বেত্রাঘাতের নির্দেশ প্রদান করবেন। গেরো বিহীন কোন মধ্যম ধরনের বেত দ্বারা আঘাত করবে যাতে তার কষ্ট অতি তীব্র না হয় এবং অতিশয় সাধারণও না হয়। এমন লোক দ্বারা তা কার্যকর করতে হবে যে বুদ্ধিমান ও দৃষ্টি সম্পন্ন। এক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। তবে অপরাধী যদি পুরুষ হয় তাহলে দণ্ড প্রদানের পূর্বে তার অতিরিক্ত কাপড় চোপড় খুলে নিবে এবং এক বস্ত্রের মধ্যে তাকে প্রহার করবে। প্রহারের সময় তাকে বন্ধনমুক্ত রাখবে ও সে দণ্ডায়মান অবস্থায় থাকবে। কিন্তু বন্ধনমুক্ত অবস্থায় প্রয়োগে অসুবিধা হলে বেঁধে নিতে কোন আপত্তি নেই। আর অপরাধী পুরুষ না হয়ে যদি মহিলা হয়, তাহলে আব্রুর হিফাযত হয় এ পরিমাণ বস্ত্র রেখে অতিরিক্ত কাপড় সরিয়ে ফেলবে। তাকে উপবিষ্ট অবস্থায় প্রহার করবে।
অপরাধী নারী হোক অথবা পুরুষ বেত্রদণ্ড প্রয়োগের সময় তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে পৃথক পৃথকভাবে প্রয়োগ করবে। বেত্রদণ্ডের আওতা হতে লজ্জাস্থান, মুখমণ্ডল ও মস্তক মুক্ত রাখবে। বেত্রদণ্ড ও রজম এক সাথে আরোপ করা যাবে না। (আলমগীরী, ২য় খণ্ড)