হানাফী ফকীহগণের মতে পশুর সাথে সঙ্গমকারীর উপর যিনার শাস্তি প্রয়োগ হবে না। তবে তাকে তা’যীরের আওতায় শাস্তি প্রদান করবে। কেননা অপরাধ ও কারণ কোন দিক থেকে তা যিনার সংজ্ঞায় পড়ে না। বস্তুত এমন এক গর্হিত বিষয় যে ব্যাপারে যে কোন সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন লোক ঘৃণা পোষণ করে। অতিশয় নির্বোধ ও যৌন-উন্মাদ ছাড়া কারও পক্ষে এহেন কাণ্ড ঘটানো সম্ভব নয়। যেহেতু শরীয়ত কোন নির্দিষ্ট হদ্দ আরোপ করেনি, তাই এ ধরনের অপরাধ প্রামাণিত হলে তা’যীরের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ ধরনের অপরাধী যে পশুর সাথে সঙ্গম করেছে, সে পশুটিকে প্রথমে যবেহ করবে। এবং পশুটি হালাল না হলে তা জ্বালিয়ে দিবে এবং সঙ্গমকারী পশুটির মালিক না হলে তার কাছ থেকে এর জরিমানা আদায় করে নিবে। আর পশুটি যদি হালাল হয় তা হলে ইমাম আযম আবূ হানীফা (র)-এর মতে তা না পুড়িয়ে গোশ্ত ভক্ষণ করবে। পক্ষান্তরে ইমাম আবূ ইউসুফ (র)-এর মতে যবেহ করার পর তা পুড়িয়ে দিবে এবং সে এর মালিক না হলে তার নিকট হতে জরিমানা আদায় করা হবে। (আলমগীরী, ২য় খণ্ড)