(১) কোরআন পাক স্পর্শ করা হারাম।
(২) মসজিদে প্রবেশ করা হারাম। তবে মসজিদের ভিতর ছাড়া বের হওয়ার কোন পথ না থাকলে সে কথা আলাদা; এ অবস্থায়ও তায়াম্মুম করে নিতে হবে। অথবা যদি মসজিদে শুয়ে থাকা অবস্থায় স্বপ্নদোষের কারণে গোসল ফরয হয় তা হলে তাকে বের হওয়ার জন্য নিশ্চয় মসজিদের ভিতর থেকে হেঁটে
বেরুতে হবে। এ অবস্থায় কোন গোনাহ হবে না।
(৩) হায়েয-নেফাস অবস্থায় স্বামী-স্ত্রী সহবাস হারাম।
(৪) এ অবস্থায় আল্লাহর কালাম পড়া নাজায়েয; কিন্তু কালেমা শরীফ,
দরূদ, আল্লাহর যিকির এবং দোয়া হিসাবে কোন আয়াত পড়া জায়েয।
(৫) জাগ্রত হয়ে যদি পুরুষাঙ্গ উত্তেজিত অবস্থায় পায় এবং বিনা স্বপ্নদোষে পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগে কিছু বীর্য পাওয়া যায়, অথচ কাপড়ে বা দেহের কোথাও দাগ বা ভিজা না পাওয়া যায়, তা হলে গোসল ফরয হবে না। আর দেহ বা কাপড়ে দাগ বা ভিজা পাওয়া গেলে গোসল ফরয হবে।
(৬) স্বামী-স্ত্রী উভয়ে পরিষ্কার বিছানায় শুয়েছিল। ঘুম থেকে উঠে বিছানায় দাগ দেখা গেল; কিন্তু স্বপ্নদোষের কথা কারোর মনে পড়ছে না এবং কার বীর্য তাও বোঝা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় উভয়কেই গোসল করতে হবে। (৭) বেপর্দা না হয়ে যদি গোসল করা সম্ভব না হয় তা হলে পুরুষ সমাজে পুরুষ এবং মেয়ে সমাজে মেয়েরা গোসল করবে। কিন্তু কোন অবস্থাতেই মহিলা সমাজে পুরুষ এবং পুরুষ সমাজে মহিলা গোসল করার জন্য উলঙ্গ হবে না। সে অবস্থায় গোসলের পরিবর্তে তায়াম্মুম করে নিতে হবে।