‘মুহসিন’ শব্দটি আরবী ‘ইহসান । শব্দ হইতে উৎপন্ন। ইহসান শব্দের অর্থ কিল্লায় প্রবেশ করা। বলা হয় ‘আহসান’ أحصن অর্থাৎ সে কিল্লায় প্রবেশ করেছে। তাই مخص মুহসিন শব্দের অর্থ কিল্লায় প্রবেশকারী। পরিভাষায় মুহসিন محصن বলা হয়, এমন ব্যক্তিকে যার সাথে সাতটি গুণ পাওয়া যায়: ১. বুদ্ধিমান হওয়া, ২. বালিগ হওয়া, ৩. স্বাধীন হওয়া ৪. মুসলমান হওয়া ৫. সহীহ বিবাহ সম্পন্ন হওয়া, ৬. স্বামী-স্ত্রী উভয়ের বুদ্ধিমান হওয়া, বালিগ হওয়া, স্বাধীন হওয়া, মুসলমান হওয়া এবং ৭. সহীহ বিবাহের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সঙ্গম সংঘটিত হওয়া। কোন ব্যক্তির মাঝে এ শর্তগুলো পাওয়া গেলে সে মুহসিনরূপে পরিগণিত হবে। (বাদায়িউস্ সানায়ে, ৫ম খণ্ড)

মুহসিন ব্যক্তির শাস্তি হলো রজম। রজম কার্যকর করার ব্যাপারে বিচারকের জন্য মুস্তাহাব হলো, তা কার্যকর করার উদ্দেশ্যে মুসলিমদেরকে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ প্রদান করা। বিচারকের নির্দেশক্রমে লোকেরা একত্রিত হওয়ার পর রজমকৃত ব্যক্তির পাশে নামাযের মত সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে যাবে। একদল রজম করার পর তারা পিছিয়ে আসবে। তারপর আরেক দল গিয়ে রজম করবে। প্রথমে সাক্ষীগণ রজমের সূচনা করবে। তারপর বিচারক এবং সর্বশেষে সাধারণ মানুষ রজম করবে। সাক্ষীগণের সকলে অথবা তাদের যে কোন একজন রজমের সূচনা করতে অস্বীকৃত হলে অথবা তাদের কেউ মারা গেলে অথবা উপস্থিত থাকলে অথবা সাক্ষ্যদানের যোগ্যতা হারিয়ে ফেললে রজম রহিত হয়ে যাবে। রজমকৃত ব্যক্তি মহিলা হলে তার জন্য বক্ষ পর্যন্ত গর্ত খনন করে তাকে তাতে স্থাপন করা যেতে পারে। গর্ত খনন না করাতেও কোন অসুবিধা নেই। তবে গর্ত খনন করা উত্তম বটে। আর রজমকৃত যদি পুরুষ হয় তবে তার জন্য গর্ত খনন করবে না। রজমকৃত ব্যক্তিকে রজম করার সময় কোন কিছুর সাথে বেঁধে আটকে রাখা যাবে না বরং এ সময় তাকে বন্ধনমুক্ত অবস্থায়

ছেড়ে রাখবে। (আলমগীরী, ২য় খণ্ড)