بسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ وَالَّيْلِ إِذَا يَغْشَى – وَالنَّهَارِ إِذَا تَجَلَّى – وَمَا خَلَقَ الذَّكَرَ . وَالْأُنْثَى – إِنَّ سَعْيَكُمْ لَشَتَّى – فَأَمَّا مَنْ أَعْطَى وَاتَّقَى – وَصَدَّقَ بالحسنى – فَسَنُيَسِرُهُ لِلْمُسْرَى ، وَأَمَّا مَنْ بَخِلَ وَاسْتَغْنَى . وَكَذَبَ بِالْحُسْنَى ، فَسَيَرَهُ لِلْعُسْرَى ، وَمَا يُغْنِي عَنْهُ مَالَهُ إِذَا تَرَدُّى – إِنَّ عَلَيْنَا لَلْهُدَى ، وَإِنَّ لَنَا الْآخِرَةُ وَالْأُولى . نَا نَذَرْتُكُمْ نَارًا تَلظى – لَا يَصْلُهَا إِلَّا الْأَشْقَى – الَّذِي كَذَّبَ وَتَوَلَّى – وَسَيُجْتَبُهَا الْأَنْقَى – الَّذِي يُؤْتِي مَالَهُ يَتَرَكَى ، وَمَا لأَحَدٍ عِندَهُ مِنْ نِعْمَةٍ تُجْزَى – إِلَّا ابْتِغَاءَ وَجْهِ رَبِّهِ الْأَعْلَى . وَلَسَوْفَ يَرْضَى .
উচ্চারণ: ওয়াল্লাইলি ইযা ইয়াগশা। ওয়ান্নাহারি ইযা তাজাল্লা। ওয়ামা
খালাকায় যাকারা ওয়াল উন্ন্সা। ইন্না সাইয়াকুম লাশাত্তা। ফাআম্মা মান আ’তা ওয়াত্তাকা। ওয়া সান্দাকা বিলহুসনা। ফাসানুইয়াসিরুহু লিইউস্রা। ওয়া আম্মা মাম বাখিলা ওয়াসতাগনা। ওয়া কাযযাবা বিলহুসনা। ফাসানুইয়াসসিরুহু লিলউসরা। ওয়ামা ইউগ্নী আনহু মালুহু ইযা তারাদ্দা। ইন্না আলাইনা লালহুদা। ওয়া ইন্না লানা লালআখিরাতা ওয়াল উলা। ফাআন্যারতুকুম নারান তালায্যা। লা ইয়াসলাহা ইল্লাল আশকা। আল্লাযী কায্যাবা ওয়া তাওয়াল্লা। ওয়া সাইউজান্নাহাল আতঙ্কা। আল্লাযী ইউ’তী মা লাহু ইয়াতাযাকক্কা। ওয়ামা লিআহাদিন ইন্দাহু মিন্ নি’মাতিন্ তুজ্যা। ইল্লাবিতগাআ ওয়াজহি রাব্বিহিল আ’লা। ওয়ালা সাওফা ইয়ারদা।
অর্থ: শপথ রাতের যখন তা সূর্যকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। আর দিবসের যখন তা আলোকিত হয়। আর তাঁর, যিনি নর ও মাদী সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয়ই তোমাদের প্রচেষ্টা বিভিন্নমুখী। অতঃপর যে আল্লাহর রাহে দান করেছে এবং আল্লাহকে ভয় করেছে আর ভাল কথা (ইসলাম) সত্য বলে জেনেছে। তবে আমি তাকে শান্তির উপকরণ (জান্নাত) দান করব। আর যে কৃপণতা করেছে এবং বেপরোয়া হয়েছে এবং ভাল কথা (ইসলাম) অবিশ্বাস করেছে, আমি তাকে কষ্টদায়ক বস্তু (জাহান্নাম)-এর জন্য আস্বাব দান করব। আর তার ধন-সম্পদ কোন কাজে আসবে না, যখন সে জাহান্নামে পতিত হবে। বাস্তবিকই আমার দায়িত্ব শুধু রাস্তা দেখিয়ে দেয়া। আর আমারই আয়ত্তে রয়েছে পরকাল ও ইহকাল। অনন্তর আমি তোমাদেরকে এক প্রজ্জ্বলিত অগ্নির ভয় দেখাচ্ছি। তাতে কেবল সেই হতভাগাই প্রবেশ করবে যে সত্য ধর্ম অবিশ্বাস করেছে এবং তা হতে মুখ ফিরিয়ে রেখেছে। আর তা হতে এমন ব্যক্তিকে দূরে রাখা হবে, যে অত্যন্ত পরহেজগার। যে নিজ ধন-সম্পদ শুধু এই নিয়তে দান করে, যেন সে পাক হয় (অর্থাৎ শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভই তার উদ্দেশ্য)। আর তার বিষয়ে কারো কোন এহসান ছিল না যে, তার প্রতিদান দিতে হয় নিজের মহোন্নত প্রভুর সন্তুষ্টি সাধন ব্যতীত, আর অতি সত্বর সে সন্তুষ্ট হয়ে যাবে।