মদপান করা যেমনিভাবে হারাম অনুরূপভাবে পান করা ছাড়া অন্য কোন কাজে
মদ ব্যবহার করাও হারাম। বাচ্চা ছেলে মেয়েদেরকে ঔষধ হিসেবে মদপান করানো না জায়িয এবং হারাম। এরূপ করলে যে পান করাবে সে গুনাহগার হবে। হযরত ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত রয়েছে। তিনি বলেন: ان أولادكم ولدوا على الفطرة فلا تداو وهم بالخمر ولا تغذوهم بها
فان الله لم يجعل في رجس شفاء তোমাদের সন্তানগণ ইসলামের উপর জন্মগ্রহণ করে থাকে। সুতরাং তোমরা তাদেরকে মদ দ্বারা চিকিৎসা করবে না এবং তাদেরকে তা খাওয়াবে না। কেননা, আল্লাহ তা’আলা নাপাক বস্তুতে প্রতিষেধক রাখেননি। শরীরের ক্ষতস্থানে মদ ব্যবহার করা জায়িয নেই। এমনিভাবে কোন প্রাণীকে ঔষধ হিসেবে তা সেবন করানোও জায়িয নেই। মদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবহার করা এবং জননেন্দ্রীয়ের ছিদ্রে তা ব্যবহার করা না জায়িয। জীব-জানোয়ারকে মোটাতাজা করার নিমিত্তে মদ বা মাদক দ্রব্য সেবন করানো হারাম। (মাউসু’আতুল ফিকহ আল-ইসলামী, ১২তম খণ্ড)
মদ বা এ জাতীয় হারাম বস্তু ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করার ব্যাপারে ফকীহগণ বলেন, অনন্যোপায় অবস্থায় প্রাণ নাশের আশংকা দেখা দিলে এ ক্ষেত্রে হারাম বস্তু ঔষধ হিসেবে সেবন করা জায়িয। কিন্তু প্রাণ নাশের আশংকা নেই এমন রোগ ব্যাধি নিরাময়ের লক্ষ্যে হারাম বস্তু ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা জায়িয কিনা এ সম্বন্ধে ইমাম আবু ইউসুফ (র) বলেন, যদি কোন বিজ্ঞ চিকিৎসক বলেন যে, এ ঔষধ ব্যবহার করা ছাড়া তার রোগ নিরাময় হবে না তাহলে তার জন্য এই হারাম ঔষধ এবং মাদক দ্রব্য ব্যবহার করা জায়িয হবে। (মা’আরিফুস সুনান, ১ম খণ্ড)
উপরোক্ত ক্ষেত্রসমূহে মাদক দ্রব্যের হুকুমও মদের হুকুমের অনুরূপ। যে যে অবস্থায় মদের ব্যবহার হারাম মাদক দ্রব্যও সে সে অবস্থায় হারাম। আর যে যে ক্ষেত্রে মদের ব্যবহার জায়িয সে সব ক্ষেত্রে মাদক দ্রব্যের ব্যবহারও জায়িয।