আরবী ভাষা সাধারণত আল্লাহ্ শব্দের শুরুতে ওয়াও (واو) বা (ب) তা (ت)সংযোগ করে কসম করা হয়ে থাকে, যেমন কসম, আল্লাহ্ কসম (কাযী খান, ১ম খণ্ড) الله আল্লাহর কসম আল্লাহর

কসমের জন্যে যে দেশে যে পরিভাষায় যে শব্দ ব্যবহার করে কসম করা হয়ে থাকে, সে দেশে আল্লাহর যাতী সত্তা-বা সিফাত-গুণ নামের সাথে ঐ সকল শব্দ কসম হবে। (শামী, আলমগীরী ও হিদায়া)

বাংলা ভাষায় দোহাই, শপথ, কসম কিংবা ইত্যাদি শব্দ কসমের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আল্লাহর সাথে এ সকল শব্দ যোগ করে কসম করলে কসম হবে। যেমন

আল্লাহর দোহাই ইত্যাদি।

কসম রক্ষা ও পূরণ করার ব্যাপারে উয়ামীহুল আকিদাহ চার ভাগে বিভক্ত।

১. এমন কোন ইবাদত সম্পাদন সম্পর্কিত কসম যা পালন করতে কসমকারী আদিষ্ট। অথবা এমন কোন পাপ ও নাফরমানী বর্জন বিষয়ক কসম যা বর্জনে সে আদিষ্ট। এই প্রকারের কসম পূরণ করা এবং কসমের উপর অবিচল থাকা ওয়াজিব ও আবশ্যক। কসম করার পূর্বেও এরূপ করা তার জন্যে ফরয ও অত্যাবশ্যক ছিল। কসমের কারণে এটি আরও জোরদার হয়। কোন ইবাদত ও বন্দেগী বর্জন করা কিংবা কোন গুনাহ ও পাপের কাজ সম্পাদন করা সম্পর্কিত কসম। এটি রক্ষা করা এবং কসমের উপর অবিচল থাকা জায়িয নয়। বরং এ প্রকারের কসম অবশ্যই ভঙ্গ করতে হবে। এবং কসম ভঙ্গের জন্য কাফ্ফারা দিতে হবে।

৩. এমন কোন বিষয় সম্পর্কিত কসম যা পূরণ করা এবং ভঙ্গ করা দু’টোরই তার ইখতিয়ার আছে। তবে কসম রক্ষা অপেক্ষা ভঙ্গ করা অধিক কল্যাণকর। সে ক্ষেত্রে কসম ভঙ্গ করা মুস্তাহাব ও ভাল। তবে ভঙ্গ করার কারণে কাফ্ফারা দিতে

হবে। ৪. এমন বিষয় সম্পর্কিত কসম যা রক্ষা করা এবং ভঙ্গ করা দু’টোই সমান। এমতাবস্থায় রক্ষা করা কিংবা ভঙ্গ করা দু’টোই তার ইখতিয়ারাধীন। এক্ষেত্রে কসম রক্ষা করাই উত্তম, তবে ভঙ্গ করলে কাফ্ফারা দিতে হবে। (আলমগীরী ২য় খণ্ড)