এক।। যখন কোন নামাযই পড়া যায় না
নিম্নবর্ণিত সময়গুলোতে ফরয, ওয়াজিব, সুন্নত, নফল, জানাযা, ঈদ, কাযা এক কথায় কোন নামাযই পড়া যায় না।
১. সূর্য উদয় হতে শুরু করলে পুরাপুরি উদয় না হওয়া পর্যন্ত।
২. ঠিক দুপুরের সময়, অর্থাৎ সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়ার একটু পূর্ব থেকে ঢলে পড়া পর্যন্ত।
৩. সূর্য অস্ত যেতে শুরু করে অস্ত যাওয়া সমাপ্তি পর্যন্ত। তবে ঐদিনের আসরের নামায অন্ত সমাপ্তির পূর্ব পর্যন্তও পড়া যায়।
দুই।। যখন যেকোন নামাযই মাকরূহ
১. সূর্যোদয়ের সময়সহ মোট পঁচিশ মিনিট সময় থেকে উদয়ের সময়টুকু বাদে যে সময় এ সময় যেকোন নামাযই মাকরূহ।।
২. ঠিক দুপুরসহ মোট তেইশ মিনিট সময় থেকে দুপুরের সময়টুকু বাদ দিয়ে যে সময়।
৩. সূর্য হলুদ বর্ণ হয়ে যাওয়া থেকে অস্ত শুরু হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত। তবে ঐ দিনের আসর নামায না পড়ে থাকলে এ সময়ে পড়া যায়।
৪. জুম’আর খোতবা শুরু হওয়া থেকে শেষ হওয়া পর্যন্ত। তবে ঐ সময় কাযা নামায পড়া যায়।
৫. বিনা ওযরে মধ্য রাত থেকে সোবহে সাদেকের পূর্ব পর্যন্ত সময়ে ঐ রাতের এশা বা বেতের পড়া মাকরূহ।
তিন।। যখন নফল নামায পড়া মাকরূহ
১. সোবহে সাদেক হওয়ার পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত। তবে এশা ও বেতের কাযা হয়ে থাকলে পড়া যায়।
২. আসরের ফরয নামায পড়ার পর থেকে সূর্যাস্ত শুরু হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত।
৩. সূর্যাস্তের পর থেকে মাগরিবের ফরয শুরু হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত।
৪. দুই ঈদের নামাযের পূর্বে ঘরে, ঈদগাহে কিংবা অন্য কোথাও নফল নামায পড়া মাকরূহ। তবে উল্লিখিত সময়গুলোতে ফরয, ওয়াজিব, কাযা ও জানাযার নামায পড়া যাবে এবং তেলাওয়াতের সেজদাও করা যাবে। উল্লেখ্য, ফজরের সুন্নতের জন্য এত দূর তাকিদ রয়েছে যে, ফজরের জামা’আত তাশাহহুদের বৈঠকে পাওয়া না গেলেও সুন্নত আগে পড়ে নিতে হবে। কিন্তু তাশাহহুদের বৈঠকেও পাওয়ার আশংকা হলে সুন্নত বাদ দিয়ে জামা’আতে আগে ফরয পড়ে নেবে। এরপর সূর্যোদয়ের পরেই সুন্নত পড়তে হবে।