১। শরীর পাক হওয়া প্রথমে অযু করবে। ফরয গোসলের প্রয়োজন হলে গোসল করবে। শরীয়তসম্মত ওযর থাকলে অযু গোসলের পরিবর্তে তায়াম্মুম করবে।

২। কাপড় পাক হওয়া পাক-পবিত্র কাপড় পরিধান করে নাপাক কাপড়ে নামায হবে না বিধায় নামায আদায় করতে হবে।

৩। জায়গা পাক হওয়া নামায আদায় করার স্থান পাক হতে হবে। অর্থাৎ যতটুকু স্থান নামাযের জন্য প্রয়োজন ততটুকু পাক হতে হবে।

৪। সতর ঢাকা পুরুষের শরীরের যেটুকু সতর সেটুকু আর মেয়েলোকের সর্বশরীর ঢাকা ফরয।

৫। কেবলামুখী হওয়া কা’বা ঘরের দিকে মুখ করে দাঁড়ানো।

৬। ওয়াক্তমত নামায পড়া যে নামাযের জন্য যে সময় নির্ধারিত আছে সে সময়েই নামায আদায় করতে হবে। নির্ধারিত ওয়াক্তের পূর্বে বা পরে আদায় করলে নামায আদায় হবে না। ওয়াক্তের মধ্যে নামায আদায় না করলে পরে কাযা আদায় করতে হবে।

৭। নামাযের নিয়ত করা যে ওয়াক্তে যে নামায আদায় করবে, মনে মনে সেই নামাযের নিয়ত করতে হবে।

৮। তাকবীরে তাহরীমা বলা নিয়তের পরে আল্লাহু আকবার বলে হাত

বেঁধে নামায শুরু করা।

৯। কেয়াম করা দাঁড়িয়ে নামায আদায় করা। শরীয়তসম্মত ওযর ব্যতীত বসে ফরয নামায আদায় করবে না। সুন্নত, মোস্তাহাব ও নফল নামায বসে আদায় করাও জায়েয।

১০। কেরাআত পাঠ করা নামাযে কোরআন শরীফের কিছু অংশ পাঠ করা। সূরা ফাতেহার পর যেকোন একটি সূরা অথবা ছোট তিন আয়াত কিংবা একটি বড় আয়াত পাঠ করা ফরয।

১১। রুকু করা করা। সূরা-কেরাআতের পরে কোমর বাঁকা করে মাথা নত

১২। সেজদা করা রুকুর পরে মাটিতে কপাল ও নাক স্থাপন করা।

১৩। আখেরী বৈঠক দুই, তিন ও চার রাকআতবিশিষ্ট নামাযে শেষ বৈঠক. ফরয। ফরয, ওয়াজিব ও নফল সকল প্রকার নামাযে শেষ বৈঠকের হুকুম সমভাবে প্রযোজ্য।