যার উপর মিথ্যা অপবাদ আরোপ করা হয়েছে, সে নিজেই এর জন্য বিচারপ্রার্থী হবে। যদি সে ব্যক্তি জীবিত না থাকে তবে তার বংশের উর্ধতন অথবা অধঃস্তন্য ব্যক্তিরা অপবাদের শাস্তির জন্য বিচারপ্রার্থী হতে পারবে। যেমন-তার পিতামাতা এবং নিজ সন্তান অথবা সন্তানের সন্তানেরা অপবাদের বিচারপ্রার্থী হতে পারে।

যদি কোন ব্যক্তি কোন লোককে বলে হে ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণীর পুত্র! তাহলে এই অপবাদ তার পিতা-মাতার উভয়ের প্রতিই আরোপিত হবে। এমতাবস্থায় তারা জীবিত থাকলে বিচারপ্রার্থী হবে। অন্যথায় তাদের সন্তানেরা এজন্য বিচার প্রার্থী হতে পারবে। (আলমগীরী, ২য় খণ্ড ও কাযী খান।) কোন মৃত সচ্চরিত্রবান ব্যক্তির প্রতি যিনার অপবাদ আরোপ করা হলে তার পিতামাতা সন্তান-সন্তুতি অপবাদদাতার বিরুদ্ধে বিচারপ্রার্থী হতে পারে।

মৃত বক্তির উপর আরোপিত কাযাফ-এর হদ্দ এর দাবি কেবলমাত্র তারাই করতে পারে; এ অপবাদের কারণে যাদের এসব বংশধারা কলঙ্কিত হওয়ার আশংকা থাকে।