স্টীমার, লঞ্চ, রেলগাড়ী ইত্যাদি স্নানবাহনে বা বড় নৌকায় ভ্রমণের সময় দাঁড়িয়ে নামায পড়তে হবে। কিন্তু দাঁড়াতে অসুবিধা হলে বসে নামায আদায় করা যাবে এবং ছোট ছোট যানবাহনে দাঁড়িয়ে নামায পড়তে অসুবিধা হলে বসে নামায পড়া জায়েয হবে। আর যেকোন যানবাহন স্টেশনে দাঁড়ানো বা ভিড়ানো থাকলে এ অবস্থায় দাঁড়িয়ে নামায পড়তে হবে কিংবা সম্ভব হলে যানবাহন হতে নেমে নামায আদায় করতে হবে।
যেকোন যানবাহনের চলমান অবস্থায় কিংবা থামানো অবস্থায় কেবলামুখী হয়ে নামায আদায় করতে হবে। নামায অবস্থায় কেবলা ঘুরে গেলে নামাযীকেও কেবলার দিকে ঘুরতে হবে। আর নামাযীর পক্ষে ঘুরা সম্ভব না হলে ঐ অবস্থায় নামায শেষ করবে।
একত্রে একাধিক নৌকা চলার সময় এক নৌকায় ইমাম এবং অন্যান্য নৌকায় মোক্তাদীগণ নামায আদায় করলে এই নামায শুদ্ধ হবে না। তবে কতকগুলো নৌকা একত্রে পাশাপাশি ভিড়ানো অবস্থায় এক নৌকায় ইমাম এবং অন্য নৌকায় মোক্তাদীগণ দাঁড়ালে এই নামায শুদ্ধ হবে।
চতুষ্পদ জন্তুর আরোহী কেবলামুখী হয়ে নামায শুরু করার পর বাহন জন্তুটি যদি কেবলার দিক হতে ঘুরে যায়, তবে নামাযীকেও ঘুরতে হবে। কিন্তু বাহন কেবলামুখী চলাবস্থায় আরোহী অন্য দিকে মুখ করে নামায আদায় করলে এ নামায হবে না। যেকোন যানবাহনে অযু করার জন্য পানি না পাওয়া গেলে এবং নামাযের ওয়াক্ত চলে যাবার আশংকা হলে তায়াম্মুম করে নামায পড়া জায়েয হবে।