যিনার হদ্দ দু’প্রকার: ১. জালদ বা বেত্রদণ্ড এবং ২. রজম বা প্রস্তরাঘাতে হত্যা করা। উভয় প্রকার ওয়াজিব হওয়ার কারণ হলো যিনা। তবে শর্তের দিক থেকে উভয়টিতে পার্থক্য রয়েছে। রজমের হদ্দ ওয়াজিব হওয়ার জন্য অপরাধীর মুহসিন হওয়া শর্ত, পক্ষান্তরে জালদ বা বেত্রদণ্ড ওয়াজিব হওয়ার জন্য মুহসিন হওয়া জরুরী নয়।

যিনার ক্ষেত্রে মুহসিন হওয়ার শর্ত ৭টি: ১. যিনাকারী এবং যিনাকারিণী উভয়ে বুদ্ধিমান হওয়া, ২. উভয়ে বালিগ হওয়া, ৩. উভয়ে স্বাধীন হওয়া, ৪. উভয়ে মুসলিম হওয়া, ৫. উভয়ে সহীহ্ বিবাহের মাধ্যমে কারও সাথে বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ থাকা, ৬. স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মাঝে উপরোক্ত গুণাবলী বিদ্যমান থাকা। অর্থাৎ তাদের উভয়ে বুদ্ধিমান হওয়া, বালিগ হওয়া, স্বাধীন হওয়া ও মুসলিম হওয়া আবশ্যক। ৭. সহীহ বিবাহের মাধ্যমে উভয়ের মাঝে সঙ্গম হওয়া।

উল্লিখিত বিষয়গুলো অভিযুক্তদের উভয়ের মুহসিন হওয়ার জন্য আবশ্যক। এগুলোর কোন একটির অনুপস্থিতিতে তাদেরকে মুহসিনরূপে গণ্য করা যাবে না। এ কারণে কোন নাবালগ শিশু, পাগল, গোলাম, কাফির, ফাসিক বিবাহের মাধ্যমে বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ ব্যক্তি, সহীহ বিবাহের পর সঙ্গম হয়নি এমন অথবা সঙ্গম হয়েছে, তবে সঙ্গমের সময় ইহসানের শর্ত পাওয়া যায়নি এমন ব্যক্তিকে মুহসিনরূপে গণ্য করা হবে না। তাই কোন স্বামী যদি স্বীয় বালিকা বধু অথবা উন্মাদ স্ত্রী অথবা স্বীয় বাঁদী অথবা কিতাবিয়ার সাথে সঙ্গম করে এবং সঙ্গম করার পর উক্ত বালিকা সুস্থ হয়ে যায়, বাঁদীকে মুক্ত করে দেওয়া হয় ও কাফির মহিলা মুসলমান হয়ে যায় তবে এ সমস্ত কারণ দূর হওয়ার পর আরেকবার সঙ্গম না হওয়া পর্যন্ত উক্ত ব্যক্তি মুহসিন হিসেবে সাব্যস্ত হবে না। সুতরাং এ অবস্থায় উক্ত স্বামী যদি কোন মহিলার সাথে যিনা করে তাহলে তার উপর রজমের হদ্দ প্রযোজ্য হবে না। (বাদায়িউস্ সানায়ি)